
হার্ট অ্যাটাকের পূর্বের কিছু লক্ষণ

Link Copied!


জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে একটা বয়স পর হতে পারে হৃদরোগ। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস থাকলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করেও হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, মাত্র কয়েক মিনিট হাঁটলেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমতে পারে অনেকাংশে। দিনে মাত্র ২১ মিনিট হাঁটার অভ্যাস হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায় প্রায় ৩০ শতাংশ। প্রতি দিন ২১ মিনিট করে হাঁটার অর্থ সপ্তাহে প্রায় আড়াই ঘণ্টা হাঁটা।

জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের পূর্বের কিছু লক্ষণ-
- হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে, তা অবহেলা করবেন না। কারণ, এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠান্ডা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে।
- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের প্রায় ১ মাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কোনো কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হলে বুঝতে হবে হৃদপিণ্ডের বিশ্রামের প্রয়োজন।
- একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়াও বুক জ্বালা যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তা-ও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি কোনো কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলো অবহেলা করবেন না।

