
হত্যা নাকি আত্মাহনন?
কুমিল্লা থেকে লাশ হয়ে ফিরলো হাজীগঞ্জের রুবেল



বৃহস্পতিবার রাত ১টা। ঘুমন্ত গ্রামবাসী হঠাৎ শুনতে পেলো এম্বুলেন্সের ডাক। ভিতরে লাশ। কার লাশ? এম্বুলেন্স থেকে নামানোর পর দেখলো ২৫ বছর বয়সী রুবেল হোসেনের লাশ।

রুবেল হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়ালজোশ গ্রামের নুরুল হকের বড় ছেলে। সে ছোট বেলা থেকে কুমিল্লা সদর থানার দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের খেতাসারা চেয়ারম্যান অফিস সংলগ্নে বাসাভাড়া থাকতো।
তিন মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার। স্ত্রী কোহিনূরের সাথে তিনদিন আগে ঝগড়া হয়। তারপর থেকে স্ত্রী চলে যান বাবার বাড়ী মুরাদনগরে। তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমিল্লা থেকে রুবেলের লাশ নিয়ে আসার সহপাঠীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে রুবেলের বাসায় গিয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। ওই সময় তার স্ত্রী বা সন্তান কেউ ছিল না।
রুবেলে হোসেনের ভাই ও বাবা নুরুল হক জানান, গত একমাস আগে রুবেল আত্মহননের চেষ্টা করে। তখন গলায় একটি দাগ পড়েছিল। তাদের কোন অভিযোগ নেই।
শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক আবদুল আজিজ মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যান। সেখান থেকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তিনি জানান, রুবেলের গলায় বড় দাগ রয়েছে। তবে দাগটি নতুন হতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।
এ বিষয়ে রুবেল হোসেনের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। পপুলার বিডিনিউজ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

