
নদী বাড়ীতে পরিচয়, রাতে গণধর্ষণ, আটক দুই

Link Copied!

হাজীগঞ্জ উপজেলায় একরাতে নারীকে দুই স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে চার যুবক। দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই জন পলাতাক। বিষয়টি সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ।
আটককৃতরা হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নং বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মাঝি বাড়ীর মহিন উদ্দিন (২৬) ও একই বাড়ীর মোহাম্মদ শাকিল হোসেন (২৪)।
পলাতক রয়েছে দুই আসামী। তারা হাজীগঞ্জ পৌরসভার রান্ধুনীমুড়া শুকু কমিশনারের বাড়ির দুই ভাই। বড় ভাই ইসমাইল হোসেন (৩২) ও ছোট ভাই কালু (২১)। তারা দুই ভাই মিলেই ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়।
পুলিশ ওই নারীকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
https://youtu.be/dtTvNvJKOgo
ঘটনার বিবরণে থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মে শনিবার বিকেলে হাজিগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা নদী বাড়ী বিনোদন পার্কে ওই নারী ঘুরতে আসে। ওই সময় শাকিল নামের স্থানীয় বাসিন্দার সাথে পরিচয় হয়। তারই সূত্র ধরে সন্ধ্যার পর তারা এই নারীকে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের বৈষ্টব বাড়ীর বালুর মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ইসমাইল ও মহিন উদ্দিন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ওই সময় শাকিলও তাদের কাছে ছিল এবং ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করে। পরে ওই নারীকে একই রাতে শাকিলের খালার বাড়ি নোয়াদ্দা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে ইসমাইলের ভাই কালু ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এভাবে রাতভর ওই নারীকে নিয়ে এলাকার যুবকেরা গণধর্ষণ করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করে।
হাজিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পপুলার বিডিনিউজকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে তিন জনকে ধর্ষণ এবং একজনকে ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করায় মামলা করা হয়েছে।
https://youtu.be/dtTvNvJKOgo
উল্লেখ্য, ওই নারী হাজীগঞ্জ উপজেলার জয়শরা গ্রামের বাসিন্দা। বয়স ২০ বছর। ছয় মাস পূর্বে তার স্বামীর থেকে তালাক প্রাপ্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ ইব্রাহিম খলিল জানান, মামলার অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে।


