
বিদ্যুৎস্পর্শে আনোয়ার ও গলায় ফাঁস দিয়ে ফরহাদের মৃত্যু


বৃহস্পতিবার সকালে হাইমচরের ২নং আলগী উত্তর ইউনিয়নের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামে আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামে এক রাজ মিস্ত্রি বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।

স্থানীয়রা জানান, আনোয়ার হোসেন এসডিএস (শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি) অফিসের নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে পানির মোটর লাইনের সাথে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে এই করুনভাবে মৃত্যুবরণ করেছে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। সেই কাজ করার জন্য প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে কমলাপুর গ্রামের কর্মস্থলে পৌঁছিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টের দূর্ঘটনা ঘটায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে এসডিএস হাইমচরের কো-অর্ডিনেটর নিগার সুলতানা বলেন, আনোয়ার হোসেন কে অফিস নির্মানের জন্য কন্টাক্ট দিয়েছিলাম। প্রতিদিনের মতো তিনি কাজ শুরু করেন এবং পরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে আহত হওয়ার খবর শুনতে পেয়েছিলাম। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে সেখানে দেখতে যাই এবং চিকিৎসক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আমরা তার পরিবারের জন্য এসডিএস এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করবো।
অন্যদিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফরহাদ (১৬) নামের এক কিশোরের গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ফরহাদ ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার মধ্য কেরোয়া গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর আমিন উল্যার ছোট ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ কৃষি কাজ করলেও গত কয়েকদিন নিয়মিত কাজ করতেন না। পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কোনমতে চলতেন। ঘটনারদিন সকালে ফরহাদ তার বোন রহিমা বেগমের কাছ থেকে ৫০ টাকা চাইলে বোন ফরাদকে টাকা দেইনি। কারন টাকা নিয়ে সে ধূমপান করে। টাকা না দেওয়ার কারনে সে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং কিছুক্ষন পর ঘরে গিয়ে তার গলায় ওড়ঁনা দিয়ে ফাঁশ দেয়া ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়।
এ সময় আমাদের ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে ফরহাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফরহাদের বোন রহিমা বেগম বলেন, আমি গত কয়েকদিন তাকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু টাকা নিয়ে আমার ভাই ধূমপান করতো এমনটি জেনে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেই।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র আবাসিক চিকিৎসক ডা. কামরুল হাসান বলেন, দুপুর আড়াইটার সময় ফরহাদ নামের ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত পেয়েছি। পরবর্তিতে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে আমরা ফরহাদ নামে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করি। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
