
ক্ষতিপূরণ চাওয়ায় কাতার ফেরত যুবকের পরিবারের ওপর মামলা



কাতার নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ দিবে। বেতন হবে এক লক্ষ টাকা। থাকবেন এসি রুমে। সবই গোলেমালে গেলো হাবিব উল্লাহর (২৮)। ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কাতারে গিয়ে কেটেছে ১৮ মাস। তারপর পুলিশের আশ্রয় নিতে গিয়ে নিজেই অপরাধী হয়ে ফিরতে হলো নিজদেশে। ভুক্তভোগী হাবিব উল্লাহ হাজীগঞ্জ উপজেলার মকিমাবাদ ৬নং ওয়ার্ডে ইমাম হাজী বাড়ীর বাসিন্দা। গ্রামের বাড়ি মনোহরগঞ্জ উপজেলার নরহরিপুর গ্রামে।

হাবিব উল্লাহ ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর কাতার যান। তাকে ভিসা দিয়েছিল হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলঘর গ্রামের মোল্লা বাড়ির সেকান্দর আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫২)। কাতারে নিয়েও আকামা লাগিয়ে দেয়ার কথা বলে পুনরায় দেড় লাখ টাকা নেয় আনোয়ার হোসেন। সবকিছুকে ডিঙ্গিয়ে সেই আনোয়ার হোসেন এখন তিনটি স্টাফ উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন হবিব উল্ল্যাহর পরিবারের বিরুদ্ধে। তবে আনোয়ার হোসেন পপুলার বিডিনিউজকে বলছেন, হাবিবকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকায় কাতার পাঠানো হয়েছে । দেড় লাখ টাকা নেয়া হয়নি।
হাবিব উল্ল্যাহর বাবার পপুলার বিডিনিউজকে বলেন তাদের প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই টাকা ফেরত চান তিনি।
সরজমিনে বেলঘরে আনোয়ার হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে জানা গেলো হাবিব উল্ল্যাহর ভাইসহ দলবল নিয়ে একাধিকবার তাকে হুমকী ধমকি দেয়া হয়। ইতোমধ্যে তিনটি স্টাম্প নিয়ে গেছে তারা। সেই স্টাম্প উদ্ধারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
জানতে চাইলে হাবিব উল্ল্যাহর ভাই পপুলার বিডিনিউজকে বলেন, আনোয়ার হোসেনের ছেলেও সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরাও চাই আমাদের ক্ষতিপূরণ। উল্টো আমাদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। মামলায় যেই তারিখ ও ঘটনা উল্লেখ করেছে তা সম্পূণ বানোয়াট ও মিথ্যা। চলতি বছরের ৭ মে আনোয়ারের সাথে দেখাই হয়নি। স্টাম্প নেয়াতো দূরের কথা।
হাবিব উল্ল্যাহ এখন দেশে। তার বাবা ভাই বেকায়দায়। পুরো পরিবার এখন দিশেহারা। এদিকে কাতার নেয়া আনোয়ার হোসেনের ছেলের মুঠোফোনের কথপোকথনে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়ার কয়েকদিন পর আদালতে মামলা দেয়া। দুই পরিবারের মাঝে এমন দ্বন্দ্ব নিরসন হোক দাবী এলাকাবাসীর। পপুলার বিডিনিউজ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
